এ বি এম ফয়েজ-উর- রাহিম পাবেলঃ নারায়ণগঞ্জে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ ও রয়েল রিসোর্টে হামলার ঘটনায় সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে।
রবিবার রাতে ওই ওসিকে বদলি করা হয় বলে সোমবার (৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ ও রয়েল রিসোর্টে হামলার ঘটনায় সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। রবিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ওই ওসিকে বদলি করা হয়।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা থেকে পুলিশ সুপারের নির্দেশে সোনারগাঁও থানার ওসির দায়িত্ব পান রফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের ১০ নম্বর অঞ্চলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফয়সাল মাহমুদ বাদী হয়ে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এসময় হেফাজত নেতারা থানার ভেতরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তারা ৭১ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে থানার ভেতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। এ ঘটনার পরই রবিবার রাতে ওসিকে বদলি করা হয়।
গেল শনিবার বিকেলে রাজধানীর অদূরে সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হক একজন নারীসঙ্গীসহ অবস্থান করছেন, এমন খবরে স্থানীয় লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা কক্ষটি ঘেরাও করে। তবে মামুনুল হকের দাবি, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সন্ধ্যা ৭টার পর হেফাজতের একদল নেতাকর্মী ও মাদরাসাছাত্ররা মিছিল নিয়ে রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।