রাঙ্গামাটি :
সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা সমাজের খারাপ দিকগুলোকে পরিহার করে মানুষের ভালো ও কল্যানকর কাজ করতে সহযোগিতা করে। এরই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ধর্মীয় চর্চার পাশাপাশি যার যার ধর্ম যাতে সঠিকভাবে পালন করতে পারে সে জন্য মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির, গীর্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মান’সহ উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এ সরকার গন মানুষের সরকার। তিনি বলেন, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সকল ধর্মের মানুষ পাকিস্থানি হানাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল বলেই আমরা বিশ্বের মানচিত্রে বাংদেশ নামে একটি দেশ পেয়েছি। তাই দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যানে আওয়ামীলীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক কথায় এ সরকার সাম্প্রদিক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।
রাঙ্গামাটির দূর্গম বরকল উপজেলার সুবলং হাজাছড়া সাম্য বৌদ্ধ বিহারে শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের আসন্ন দানোৎতম কঠিন চীবর দান ও বিহার উন্নয়ন উপলক্ষ্যে এক ধর্মীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোর্তিময় চাকমা কেরল, বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সন্তোষ চাকমা, বুদ্ধ ধর্ম কল্যান ট্রাষ্ট এর সদস্য দীপক চাকমা, বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী মৎস্য লীগের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুশান্তময় চাকমা, আওয়ামীলীগ নেতা অমলেন্দু চাকমা’সহ মন্দির পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বরকল হাজাছড়া সাম্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সংঘপাল মহাথের। ধর্মীয় দেশনা পাঠ করেন বরকল বাঘাছলা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বোধিপ্রিয় মহাথের।
সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি করতো দেশের আপামর জনগনের কল্যানে। আমরাও তার নীতি ও আদর্শে আদর্শিত। আমরাও রাজনীতি করি জনগনের কল্যানে। তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করে উচ্চ পদে থাকি আর নাইবা থাকি সবসময় সাধারন জনগনের পাশে ছিলাম থাকবো। আগামীতেও আপনাদের আর্শিবাদ ও ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে দেশ সেবায় এগিয়ে যেতে চাই। তিনি চলতি অর্থ বছরে এ মন্দিরের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, ধর্মীয় নীতি ও আদর্শকে মেনে চললে জীবনে প্রতিষ্ঠিত ও সৎ হওয়া যায়। সকল ধর্মেই শান্তির বানী দেওয়া আছে। কোন ধর্মেই অশান্তি, হানাহানি, হত্যার কথা বলা নেই। তিনি বলেন, লোভ ও হিংসা ত্যাগ করতে পারলেই প্রকৃত সুখ। সমাজের সব খারাপ দিকগুলোকে পরিহার করে মানব কল্যানে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারাটাই বড় ধর্ম। তিনি আসন্ন দানোৎত্তম কঠিন চীবর দান সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে মন্দির পরিচালনা কমিটিকে পরিষদ হতে এক লক্ষ টাকা ও এক টন খাদ্য শষ্য প্রদানের প্রতিশ্রুতী ব্যক্ত করেন।