নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৩ নং ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুরে রাতের অন্ধকারে মাছ চুরির অভিযোগের এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বিষয়টি প্রশাসন স্কুল কর্তৃপক্ষ বা এলাকার সচেতন রাজনৈতিক মহলে এখনো কোন দৃষ্টি পড়েনি।
স্থানীয় জনসাধারণের ধারণা মাছ চুরির সাথে জড়িতদের মধ্যে মূল নেতৃত্ব দাতা ভাবিচা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতির ছেলে তাই বিষয় টি নিয়ে এখনো কেউ কর্নপাত করেনি। পরবর্তী সময়ে এই বিষয় টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিনা সে বিষয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি প্রামাণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, আমি কি করবো স্কুলে কোন কমেটি নাই থাকলে তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতো আমি সরকারি চাকুরী করি আমি নিরুপায় তার মধ্যে ওনি ওয়ার্ডের সভাপতি বিষয় টি নিয়ে আমি বাড়াবাড়ি করবোনা সে কারনে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করতে চাইলেও জড়িতরা বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে। এখন এলাকাবাসীর সকলের সহযোগিতা ছাড়া আমার কিছুই করার নেই। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সহিত যোগাযোগ করলে তিনি যানায় মোবাইল ফোনে আমি কোন বক্তব্য দিবোনা আমার অফিসে আসেন পরবর্তী সময়ে তাহার অফিসে গেলে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব,ওবায়দুল হক বলেন, এই সমস্ত অন্যায়কে আমি কখনো স্থান দিবনা তিনি আরও বলেন দলের লেবাসে দলের নাম ভেঙ্গে যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে তাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা হবে না। অপরাধ যারা করেছে অবশ্যই তারা ভুল করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বিষয় টি নিয়ে জানান সরকারি পুকুরে মাছ চুরির সাথে জড়িত ওয়ার্ড সভাপতির ছেলে সে কারনেই সকলে নিরব ভুমিকা পালন করছে আমরা শান্তির লক্ষ্য স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে মিমাংশার জন্য জড়িতদের বার বার বলা হলেও তারা গায়ের জোরে রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে বিষয় টি এড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রকাশ্য বলে বেড়াচ্ছে আমরাই মাছ চুরি করেছি তোমাদের করার কিছু থাকলে করে দেখাও
জড়িতদের কয়েকজন জানান আমরা ওয়ার্ড সভাপতির কথায় মাছ মেরেছি তিনি আমাদেরকে বলেন উপর মহল কে জানানো আছে তোমরা মাছ মারো কেউ কিছু করতে পারবেনা আমরা তার কথা শুনে বিপদে পড়ে গেছি