ফারজানা মন্ডলঃ
একদিকে মহামারি করোনাভাইরাস, অন্যদিকে ধানকাটা শ্রমিক সংকট। তার ওপর আবার শুক্রবার দিবাগত রাতে টানা বৃষ্টি হয়।
এ পরিস্থিতিতে খেতের কাটা ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন নিয়ামতপুরের কৃষক। কৃষি অফিন সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো।
সরেজমিনে শনিবার উপজেলার বিভিন্ন বোরো মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিক সংকট ও বৃষ্টির পানিতে বোরোর খেতে পানি জমায় মাঠেই পড়ে রয়েছে কৃষকের কাটা ধান। বেশ কিছু দিন থেকেই এসব ধান হাঙ্গা করে (একত্রে জমা করে) রাখা হয়েছে জমিতে। এতে করে খেতের ভেজা মাটিতে রাখা হাঙ্গার নিচের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও কর্দমাক্ত জমিতে গরু বা মহিষের গাড়ি কিংবা ট্রাক্টর নামতে না পারায় কেউ কেউ আবার ঝড়ো-বৃষ্টির ভয়ে উচ্চমূল্যে শ্রমিক লাগিয়ে কয়েক দিন থেকে পড়ে থাকা কাটা ধান মাথায় করে ঘরে তুলছেন।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে ভেজা ধান উঠানে তুলে মাড়াই করতে ও শুকাতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষককে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এ বৃষ্টিতে ফলনের তেমন প্রভাব পড়বে না।